নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি জেলার ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে শীতে সাধারণ মানুষরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষেরা কষ্ট পোহাচ্ছে।
শীতের কারণে সন্ধ্যা হতে না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে জনমুখর স্থানগুলো। দিনের বেলায় নিরুত্তাপ সূর্যের দেখা মিললেও বিকেল থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতের খেটে-খাওয়া বিশেষ করে দিনমজুর, ভবঘুরে, গরীব, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষরা চরম বেকায়দায় পড়েছে।শীত নিবারণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ গরম কাপড় প্রদান করা হচ্ছে তা প্রকৃত শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে না। তাই কোনো মতে এই অঞ্চলের শীতার্ত মানুষরা শীত নিবারণ করছে।
অপরদিকে প্রচণ্ড শীতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে পা ফেলার জায়গা নেই। তবে জেলার কোথাও এখন পর্যন্ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত কোনো শিশু বা বৃদ্ধের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের সহকারী মিজানুর রহমান জানান, বুধবার নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশার মাঝেই শীতকষ্ট নিয়ে মাঠে-ঘাটে কাজ করছে কর্মজীবীরা। শীতের কারণে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে ঘরে ফিরতে দেখা গেছে।জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, জেলায় সরকারিভাবে এই পর্যন্ত ১১ উপজেলায় ৭০ হাজার ২৫০ কম্বল ও ৮শ চাদর বিতরণ করা হয়েছে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ হচ্ছে খুব কম।